সরোয়ার হোসেন:
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় চাঁদা না দেওয়ায় এক কৃষকের জমির ফসল কেটে দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিপ্লব। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পাঠানপাড়া মাঠে কৃষক আবু মোল্লা’র ফসলী জমিতে সাঙ্গপাঙ্গদের সাথে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে জমির ফসল কেটে দেয় ওই সন্ত্রাসী। এ বিষয়ে সুষ্টু বিচার চেয়ে ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল’র বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে আতংকিত ভুক্তভোগী কৃষক আবু মোল্লা।
জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুুর ইউনিয়নের আড়কান্দি গ্রামের কৃষক আবু মোল্লা এবং তার ভাইদের জুনিয়াদহ-বক্তারপুর-কুচিয়ামোড়ার প্রধান সড়কের পাশে পাঠানপাড়া মাঠে রয়েছে প্রায় ১০ বিঘা জমি। যা তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। ওই জমির সামনের মাথার অংশে অর্থ্যাৎ সড়কের পাশের জমি কিছু মানুষকে ভোগ করার সুযোগ দিয়েছিল তার বাবারা। যার মাধ্যমে তারা জমি রক্ষনাবেক্ষনের কাজ করতো। সাম্প্রতি সময়ে ওই মানুষদের কে নগদ টাকা দিয়ে দখল ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে তারা দখল ছেড়ে দেয়। কৃষক আবু মোল্লা জমির দখল নিয়েই ধনচি নামের এক ধরনের ফসল রোপন করে। দ্রুত বর্ধনশীল ধনচি কয়েক দিন পড়েই ঘরে তোলার উপযোগী হয়ে উঠতো। এমন সময় ওই জমির উপর কুদৃষ্টি পড়ে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর তরিকুল ইসলামের ছোট ভাই, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বিপ্লব’র। গত ৭ দিন আগে কৃষক আবু মোল্লাকে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে, সবাই কে টাকা দিয়ে জমির দখল নিয়েচিস। আমার টাকা এখনো পায়নি। আমার টাকা না দিয়ে জমির উপর গেলে, তোকে দেখে নেবো বলে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেয়। বুধবার দুপুরে সন্ত্রাসী বিপ্লব এবং তার সন্ত্রাসী দল নিয়ে প্রায় ১০ কাটা জমির ধনচি কেটে সাবাড় করে দেয়। এতে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় কৃষক আবু মোল্লা।
কৃষক আবু মোল্লা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসী বিপ্লব মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়ার পর থেকেই চরম আতংকে দিনাতিপাত করেছি। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে খবর পায় আমার জমির প্রায় ১০ কাটা ধনচি সন্ত্রাসী বিপ্লব ও তার লোকজন কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এসময় ওই এলাকার বিপ্লব’র সাঙ্গপাঙ্গ মন্টু’র ছেলে শামিম, মন্টু’র স্ত্রী ছালেহা এবং মন্টুর মেয়ে মিতা খাতুনও ধনচি কাটায় যোগ দেয়। এ ঘটনায় চরম আতংকিত আমারা। এ বিষয়ে সুষ্টু বিচার চেয়ে ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল’র বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।