শামিমুল ইসলাম শামিম :
তরুন সমাজকর্মী হিসাবে বুলবুল হাসান পিপুল’র নাম ভেড়ামারাবাসী অনেক আগেই জেনে গেছে। ৫ বছর আগেই ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করে প্রথম বারেই বাজিমাত করেছিলেন। মোকারিমপুর, বাহাদুরপুর, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভোটাররা তাকে নিরঙ্কুশ সমর্থন জানিয়ে ভোট দিয়েছিলেন। ভেড়ামারা পৌরসভা, বাহিরচর, চাঁদগ্রাম ও ধরমপুরের প্রতিটি কেন্দ্রেই যা ভোট পেয়েছিলেন, তা ছিল বাড়তি। পিপুলের সমর্থকরা মনে করেন, বর্তমানে সে অবস্থা নেয়। আগের যে কোন সময়ের চেয়ে পিপুলের বা তার পরিবারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বহুগুনে। আঞ্চলিকতার টান ছাড়াও শহরের বেড়েছে ব্যাপক জনসমর্থন। সে কারনে তার নির্বাচনী প্রতীক পালকি’র বিপুল ভোটে বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ভেড়ামারার এক প্রবীন ব্যাক্তিত্ব এবং ইসলামপুর এলাকার ভোটার মসলেম আলী। তিনি বলেন, আসন্ন ২১ মে অনুষ্টিত হতে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে ৭ জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ব বুলবুল হাসান পিপুল। কারন, বাবা আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন বাহাদুরপুর ইউনিয়নবাসীর নয়নের মনি। ভেড়ামারার গনমানুষের নেতা। ৬ বার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েও তিনি বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার লক্ষ্যই ছিল ভাগ্য বিতাড়িত জনগনের পাশে দাঁড়ানো। মানুষের কল্যানে কাজ করা। বাবার মতই তার সুযোগ্য পুত্ররাও অমৃত্যু মানুষের জন্য কাজ করে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বর্ণাঢ্য এই রাজনৈতিক পরিবারের প্রতিই আস্থা রয়েছে এতাদাঞ্চলের মানুষের।
ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন, সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। যার কারনে অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে গেছে এই নির্বাচন। তবে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়ে দিতে এবং উৎসবমুখর করতে ৭ ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ মোট ৯ প্রার্থী তাদের প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনী যুদ্ধে জোরে সরেই মাঠ কাঁপাচেছন ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুর রাজ্জাক’র সুযোগ্য পুত্র , বর্তমানে ভাইস চেয়ারম্যান বুলবুল হাসান পিপুল। তার নির্বাচনী প্রতীক পালকি। গতবারের নির্বাচনেও তিনি পালকি প্রতীক নিয়েই নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও তিনি জোরে সরেই প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার জন্য মাঠে নেমেছেন, মরহুম আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানরই বড় পুত্র বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন এবং ২য় পুত্র বিজেএম ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, বিজেএম গ্রুপ ফুটবল একাডেমীর সুযোগ্য চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব রুবেল মাহমুদ রতন সহ তার শুভাঙ্খীরা। নিয়মিত প্রচার প্রচারনায় অংশ নিচ্ছে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, সাবেক চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং সাবেক মেম্বারবৃন্দ। সুশীল শ্রেনীর প্রতিনিধিরাও পালকির পক্ষেই সরব রয়েছেন।
ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের এক নেতা বলেন, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছেন বুলবুল হাসান পিপুল। বাবা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যানের হাত ধরেই তার রাজনীতিতে আসা। নিজ চোখে দেখেছেন বাবার জনপ্রিয়তা এবং জনকল্যানে কাজ করা। সেই একই পথে হাটছেন তার সু-পুত্ররা। বড় ছেলে বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা পবন, মেঝ ছেলে বিজেএম ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ্ব রুবেল মাহমুদ রতন, ৪র্থ পুত্র ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বুলবুল হাসান পিপুল। এবং তার আরো ৪ ভাই ও পরিছন্ন এবং সু প্রতিষ্ঠিত। ১ ভাই ইংল্যান্ড প্রবাসী, ২ ভাই আইনজীবি এবং ১ জন ব্যাবসায়ী। প্রত্যেকেই জনগনের সেবক। বাবার মতই মানুষের কল্যানে তারা কাজ করেন। তারা বাহাদুরপুর ইউনিয়ন সহ ভেড়ামারাবাসীর আস্থার প্রতীক। বুলবুল হাসান পিপুল ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা করেছেন এবারের নির্বাচনেও তিনি ভোট প্রার্থনা করে ব্যাপক গনসংযোগ অব্যহত রেখেছেন। তার নির্বাচনী প্রতীক পালকি। পালকির প্রতিই আমাদের প্রবল আস্থা।
ভেড়ামারার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভোটার আব্দুল বারী বলেন, বুলবুল হাসান পিপুল যুব সমাজের আইকন। একজন প্রতিষ্টিত ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। তিনি পালকি প্রতীক নিয়ে আবারো নির্বাচন করছেন। তার প্রতিই আমাদের আস্থা। বাবা আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান যেমন উপজেলা ব্যাপী সকল কেন্দ্রেই ভোট পেয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তেমনি তার সু-পুত্র বুলবুল হাসান পিপুলও বিগত নির্বাচনের চেয়ে বিপুল ভোটে এবারের নির্বাচনেও বিজয়ী হবেন। তার পক্ষেই নিরংকুশ সমর্থন ভোটারদের।
ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বুলবুল হাসান পিপুল বলেন, জনগনের ভোটে এবং বিপুল সমর্থন নিয়ে বিগত ৫ বছর আগে আমি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। একজন ভাইস চেয়ারম্যানের যা ক্ষমতা, আমি তার সর্বোচ্চ দিয়ে জনগনের সেবা করেছি। এলাকার উন্নয়নে অবদান রেখেছি। আমি যদি আবারো ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে ব্যাপক ভাবে উন্নয়ন মুলক কাজ করতে পারবো। কারন, ভেড়ামারা উপজেলাবাসী আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুলের মত একজন মেধাবী উপজেলা চেয়ারম্যান পেয়েছে। তিনি আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ এবং কুষ্টিয়া-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কামারুল আরেফিন’র অত্যান্ত আস্থাভাজন ব্যাক্তিত্ব। তার হাত ধরেই ভেড়ামারা উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্টা করতে পারবো। তিনি শান্তি এবং উন্নয়নের জন্য পালকি মার্কায় ভোট দিয়ে জনগনের সেবক হয়ে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য জনগনের প্রতি অনুরোধ করেন।