২৩শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বুধবার | হেমন্তকাল | সকাল ৯:১৫
সংবাদ শিরোনামঃ
তাড়াশ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবীতে তাড়াশে পৌর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ভেড়ামারায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন কুমারখালীতে সিরাতুন্নবী (সা) মাহফিল অনুষ্ঠিত দৌলতপুর সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এসআর সেলিম সাধারণ সম্পাদক তাশরিক সঞ্চয় ভেড়ামারায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের খামার থেকে ৭টি গরু নিল ডাকাত দল ভেড়ামারা বাহাদুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা চলনবিলাঞ্চলে ৫ বছরে ত্রিশ হাজার তালবীজ রোপন আন্দোলন সংগ্রামে বিরামহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশনায়ক তারেক রহমান: অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম ভেড়ামারার নতুনহাটে বিএনপির অফিস উদ্বোধন

আলোচিত শরীফার গল্পে যা আছে

স্বাধীনতা ডেক্স:
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে সপ্তম শ্রেণির ‘ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান’ বইয়ের একটি অধ্যায়ে ‘শরীফার গল্প’ শিরোনামের লেখা নিয়ে চলছে বিতর্ক। বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষক এক অনুষ্ঠানে এ নিয়ে বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলার পর। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। চলুন দেখে নেয়া যাক আলোচিত ওই লেখাতে কী রয়েছে।
আমার সম্প্রদায়
খুশি আপা বললেন, আমরা একটা মজার খেলা খেলি চলো! তালিকা থেকে পাওয়া সম্প্রদায়ের বৈশিষ্টট্যগুলো আলাদা আলাদা কাগজে লিখে শ্রেণিকক্ষের বিভিন্ন জায়গায় সাঁটিয়ে দেওয়া হলো। এবারে খুশি আপা প্রতিবেশীদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে সম্প্রদায়, সেটির যে বৈশিষ্ট্যটি সবচেয়ে স্পষ্ট করে বোঝা যায়, প্রত্যকেকে সেখানে গিয়ে দাঁড়াতে বললেন। সবাই বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দাঁড়িয়ে যাওয়ার পর খুশি আপা হাততালি দিয়ে বললেন, বাহ! আমরা সম্প্রদায়ের বৈশিষ্ট্যগুলো চমৎকারভাবে বুঝতে পেরেছি! নিজের সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যকেও চিহ্নিত করতে পেরেছি।

নতুন পরিচয়

পরের ক্লাসে খুশি আপা একজন অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে এলেন। তিনি বললেন, ইনি ছোটবেলায় তোমাদের স্কুলে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন। আজ এসেছেন, নিজের স্কুলটা দেখতে। সুমন জানতে চাইল, আপনার নাম কী?
তিনি বললেন, আমার নাম শরীফা আকতার।
শরীফা
শরীফা বললেন, যখন আমি তোমাদের স্কুলে পড়তাম তখন আমার নাম ছিল শরীফ আহমেদ। আনুচিং অবাক হয়ে বলল, আপনি ছেলে থেকে মেয়ে হলেন কী করে? শরীফা বললেন, আমি তখনও যা ছিলাম এখনও তাই আছি। নামটা কেবল বদলেছি। ওরা শরীফার কথা যেন ঠিকঠাক বুঝতে পারল না।
আনাই তাকে জিজ্ঞেস করল, আপনার বাড়ি কোথায়? শরীফা বললেন, আমার বাড়ি বেশ কাছে।
আমাদের মতো মানুষ পৃথিবীর সব দেশেই আছে। অনেক দেশেই তারা সমাজের বাকি মানুষের মতনই। জীবন কাটায়। তবে আমাদের দেশের অবস্থারও বদল হচ্ছে। ২০১৩ সালে সরকার আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমাদের জন্য কাজ করছে। শিক্ষার ব্যবস্থা করছে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রচেষ্টা নিচ্ছে। নজরুল ইসলাম ঋতু, শাম্মী রানী চৌধুরী, বিপুল বর্মণের মতো বাংলাদেশের হিজড়া জনগোষ্ঠীর অনেক মানুষ সমাজজীবনে এবং পেশাগত জীবনে সাফল্য পেয়েছেন। ‘
এরপর কর্মক্ষেত্রে সফল কয়েকজন হিজড়ার ছবি দেওয়া হয়েছে বইতে-
এরপর নতুন প্রশ্ন শিরোনামে আরও বলা হয়,
‘ওরা এত দিন জানত, মানুষ ছেলে হয় অথবা মেয়ে হয়। এখানেও যে বৈচিত্র্য থাকতে পারে, সে কথা ওরা কখনো শোনেনি, ভাবেওনি। কিন্তু শরীফা আলাদা রকম বলে সবাই তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে, এমনকি তার পরিবারের লোকেরাও! শরীফার জীবনকাহিনি শুনে সবার মন এমন বিষাদে ভরে গেল যে তাকে আর বেশি প্রশ্ন করতেও ইচ্ছে করল না।‘
এরপর শিক্ষার্থীদের নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা ও নানা প্রশ্নের মাধ্যমে শেখার অংশ রয়েছে-
গণেশ, রনি, আয়েশা, ওমেরা আর নীলা সেদিন বাড়ি ফেরার পথে গল্প করছিল:
গণেশ: তাহলে ছেলে এবং মেয়ে ছাড়াও ভিন্ন রকমের মানুষ হয়।
রনি: আমার মা বলেন, ছোটদের কোনো ছেলেমেয়ে হয় না। বড় হতে হতে তারা ছেলে বা মেয়ে হয়ে ওঠে।
আয়েশা: আমার জানতে ইচ্ছে করছে, আমাদের সময় ছেলে বা মেয়েদের পোশাক, আচরণ, কাজকর্ম যেমন দেখি, প্রাচীন মানুষেরও কি তেমন ছিল? সামনের সময়েও কি এমনটা থাকবে?
রফিক: পৃথিবীর সব দেশে, সকল সম্প্রদায়ে কি ছেলেমেয়ের ধারণা, তাদের চেহারা, আচরণ, সাজপোশাক একই রকম?
নীলা: আমার মা আমাকে বেগম রোকেয়ার লেখা একটা গল্প পড়ে শুনিয়েছিলেন। গল্পটার নাম ‘সুলতানার স্বপ্ন’। সেখানে এমন একটা জায়গা কল্পনা করা হয়েছে যেখানে ছেলে আর মেয়েদের প্রচলিত ভূমিকা উল্টে গিয়েছে।
চলো, আমরাও নারী-পুরুষের ধারণা, সমাজে তাদের ভূমিকা আর নিজেদের ভাবনা সম্পর্কে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করি।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় এই পোস্ট শেয়ার করুন

Advertisement

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2024